উদ্ভাবনী ও উন্নত প্রযুক্তির সাথে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড প্রথমবারের মতো জাপানী ম্যানুফ্যাকচার ও বিচিত্র্য বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন PGM-FI ইঞ্জিনসমৃদ্ধ অত্যাধুনিক সেগমেন্টের নতুন Hornet 2.0 (হর্নেট টু পয়েন্ট ও )মোটরসাইকেল বাজারে এনেছে।
হোন্ডা’র মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড, উদ্ভাবন, নির্ভরযোগ্যতা ও পারফর্ম্যান্সের জন্য বিখ্যাত। সাধারণ রাইডার থেকে শুরু করে বাইকপ্রেমীরা এর দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের জন্য ব্র্যান্ডটি পছন্দ করে। হোন্ডা মোটরসাইকেল টেকসই, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং বৈচিত্র্যের প্রতীক। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মোটরসাইকেল নির্মাতা হিসেবে হোন্ডা বিভিন্ন আইকনিক মডেল তৈরি করেছে, যার মধ্যে এটি অন্যতম।
১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করা হর্নেট রাতারাতি একটি বৈচিত্র্যময়, দ্রুতগামী ও উচ্চ-কার্যক্ষমতাসম্পন্ন স্ট্রিটফাইটার বাইক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারেও স্পোর্টস বাইকের অনুভূতি দেয়। হোন্ডার এই উদ্ভাবনকে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড স্টাইলিশ, প্রিমিয়াম ফিচারস ও হাই-পারফর্ম্যান্স সম্পন্ন নতুন হর্নেট টু পয়েন্ট ও বাজারে এনেছে।
এ প্রসঙ্গে হোন্ডার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও শিগেরু মাৎসুজাকি বলেন, “বাংলাদেশের বাজারে ১৮৪.৪ সিসি’র হর্নেট টু পয়েন্ট ও দেশের মোটরসাইকেল জগতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং এতে আমরা ভীষণ আনন্দিত। এই মোটরসাইকেলে শক্তিশালী ইঞ্জিনের পাশাপাশি রাইডিং অভিজ্ঞতা আরো উপভোগ্য করতে ডিজাইন করা হয়েছে। রাইডাররা উন্নত ফিচারস ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই মোটরসাইকেল থেকে হাই-পারফর্ম্যান্স ও অনন্য অভিজ্ঞতা পাবেন। বাংলাদেশে হর্নেট টু পয়েন্ট ও এর এই উদ্বোধন আমাদের বিশ্বমানের উদ্ভাবন প্রদানে এবং বাংলাদেশে রাইডিং অভিজ্ঞতা উন্নীত করার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
হর্নেট টু পয়েন্ট ও এর বৈশিষ্ট্যসমূহ উপস্থাপনকালে হোন্ডার চিফ মার্কেটিং অফিসার শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে হোন্ডা হর্নেট ২.০ আনতে পেরে, আমরা গর্বিত। এতে আছে উন্নত মোটোজিপি-প্রাপ্ত প্রযুক্তি, যেমন; সাপোর্ট ও স্লিপার ক্লাচ, গোল্ডেন ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক, শক্তিশালী ১৮৪.৪ সিসি PGM-FI HET (এইচইটি) ইঞ্জিন এবং এবিএস সহ ডুয়াল পেটাল ডিস্ক ব্রেক ইত্যাদি। এখানে এনার্জি ও স্পোর্টিনেসের এক দুর্দান্ত সংমিশ্রণ পাওয়া যাবে। ১৯৯৬ সাল থেকে হরনেটের যাত্রা শুরু, যা বিশ্বমানের উদ্ভাবন ও নতুন ধারার ফ্যাশনেবল মোটরসাইকেল সরবরাহের আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রমাণস্বরূপ।”
তিনি আরও বলেন, “ হর্নেট টু পয়েন্ট ও বাংলাদেশের রাইডিং অভিজ্ঞতাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে ও রোমাঞ্চকর রাইডিংয়ের এক নতুন মানদ- স্থাপন করবে, যা সর্বস্তরের রাইডারদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকবে। অত্যাধুনিক ফিচারস ও প্রযুক্তির হর্নেট টু পয়েন্ট ও এ হাই পারফর্ম্যান্স, আরাম এবং নির্ভরযোগ্যতা এক অনন্য মিশ্রণ থাকবে, যা গ্রাহকদের জীবনযাত্রাকে উন্নত করবে। আমি গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলবো, ÔOwn the Beast’ কারণ এমন রাইডিং অভিজ্ঞতা বাংলাদেশে আগে কখনও পাননি।”
অর্থসূচক/ এইচএআই
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.