অন্তর্বর্তী সরকারের ভালো-মন্দ বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন,কিছু বিষয় আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে, আমরা তাঁদের পরামর্শ দিয়েছি এবং ইতিবাচক ফল পেয়েছি। মানুষ হিসেবে তাঁদের জন্য আমাদের দোয়া করা উচিত। জাতির প্রত্যাশা ও আবেগের বাইরে কোনো কাজ না করে, জাতির চেতনা, ২৪-এর বিপ্লবের চেতনাকে যেন তাঁরা সম্মান করেন। আমরা তাঁদের কাছে সেটুকুই আশা করি। তবে আবেগবশত মাঝেমধ্যে দুই–একটা জিনিস হয়ে যাচ্ছে, এটা হওয়া উচিত নয়। কী হয়ে যাচ্ছে, আপনারা সবই বোঝেন, আমি সবকিছু ভেঙে বলতে চাচ্ছি না।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় একটি হোটেলে দলীয় সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আসুন আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করি। কোনো বিভক্তি নয়, ঐক্যই হোক এ জাতির সৌন্দর্য ও শান্তির প্রতীক।
নির্বাচনে যৌক্তিক সময় কতটুকু হতে পারে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যৌক্তিক সময়ের হাড়ি আমরা হাটে ভেঙে দেবো। দেরি করবো না।
অন্তর্বর্তী সরকারের নানা কার্যক্রমের বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, মানুষ কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। এখন যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁরা এ দেশেরই মানুষ। আর আমরা দেশবাসী মিলে ঐক্যমতের ভিত্তিতে তাঁদের ওপর দায়িত্ব দিয়েছি। সুতরাং তাঁরা যদি ভালো কিছু করেন, দেশবাসী উপকৃত হবেন, আমি উপকৃত হব, আপনিও উপকৃত হবেন। কিন্তু তার আগে যদি কোনো ভুল করেন, আমরা তা ধরিয়ে দেব, সংশোধন করে দেব।
জামায়াতের ভারতনীতি প্রসঙ্গে আমির বলেন, আলাদা করে ভারতের ব্যাপারে আমরা কিছু বলব না। ভারত যেমন একটি দেশ, আমরাও এমন একটি দেশ। ভারত ছাড়া আমাদের আরও প্রতিবেশী আছে এবং বিশ্বসভায় আরও অনেক দেশ আছে। সবার প্রতি আমাদের একই কথা, আমরা মিলেমিশে পারস্পরিক মর্যাদা ও সমতার ভিত্তিতে আমাদের সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নেব।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার আগে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার দায়িত্বশীল নেতাদের নিয়ে এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি কোরআনের আলোকে জীবনযাপন এবং মহানবীর আদর্শ প্রতিপালনে দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে সবার কাছে ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দিতে নির্দেশনা দেন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.