শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন হরিনি অমরাসুরিয়া। তাকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন দেশটির সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। মন্ত্রিপরিষদ প্রধানের পাশপাশি বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দেশটির ১৬তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন হরিনি অমরাসুরিয়া। এছাড়া শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে তিনি হলেন দেশটির তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ক্ষমতা গ্রহণের পরদিনই পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। মঙ্গলবার সরকারি এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে পার্লামেন্টে ভেঙে দেওয়ার আদেশ দেন তিনি।
এর ফলে আগাম সাধারণ নির্বাচনের পথ খুলে গেল। আগামী ১৪ নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ২১ নভেম্বর পরবর্তী পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বান করা হবে বলে দেওয়া ঘোষণায় বলা হয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ৪২ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে এবং ৩৭ প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয় পেয়েছেন দিশানায়েকে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল জনতা ভিমুক্তি পেরুমুনার (পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট-জেভিপি)।
তবে পার্লামেন্টে তেমন ভালো নয় তার দলের অবস্থা। দেশটির ২২৫ আসনের পার্লামেন্টে বর্তমানে জেভিপির মাত্র ৩ আইনপ্রণেতা রয়েছেন। হরিনি অমরাসুরিয়া এই ৩ এমপির একজন।
৫৪ বছর বয়সী অমরাসুরিয়া দেশটির ১৫তম প্রধানমন্ত্রী দীনেশ গুণবর্ধনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। তিনি ৪ বছর আগে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি একসময় সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক ছিলেন। তিনি লিঙ্গ সমতা এবং সংখ্যালঘু অধিকারের বিষয়ে সক্রিয়তার জন্য পরিচিত।
জেভিপির জ্যেষ্ঠ নেতা নামাল করুণারত্নে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সংবিধান অনুযায়ী আপাতত দলের ৩ এমপি সমস্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকবেন। এ অবস্থায় পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং সাধারণ নির্বাচনের পর নতুন এমপিরা শপথ নেবেন।
তিনি আরও বলেছেন, বর্তমানে যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে, এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ছোটো মন্ত্রিসভা। সাধারণ নির্বাচনের পর নতুন এমপিদের মধ্য থেকে মন্ত্রী সভার অন্যান্য সদস্যরা শপথ গ্রহণ করবে।
অর্থসূচক/ এএকে



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.