১০ মাস পর শান্তর পঞ্চাশ

চেন্নাই টেস্টে দ্বিতীয় দিনেই পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারত। তৃতীয় দিন সকালেও সেটা অব্যাহত রাখে ভারত। দাপটের সঙ্গে প্রথম সেশন এবং দ্বিতীয় সেশনের প্রায় অর্ধেক সময় ব্যাটিং করে দলটি। চার উইকেটে ২৮৭ রানের সময় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশকে ৫১৫ রানের লক্ষ্য দেয় দলটি। জবাবে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ।

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করেছে বাংলাদেশ। জসপ্রীত বুমরাহ, আকাশ দীপকে শুরু থেকে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলতে থাকেন সাদমান ইসলাম এবং জাকির হাসান। স্টাম্প লাইনে আসা ভারতের পেসারদের ভালো বলগুলো খুব দক্ষতার সঙ্গে ডিফেন্স করতে থাকেন তারা। আর বাইরের বলগুলো লিভ করতে থাকেন জাকির-সাদমান। দেখতে দেখতে বাংলাদেশকে পঞ্চাশ রান পার করে নিয়ে যান এই দুজন। ১২ ওভারের প্রথম বলে পঞ্চাশ পেরিয়ে যায় লাল-সবুজের দল।

তবে ৬০ রানের বেশি স্থায়ী হলো না ওপেনিং জুটি। এই জুটি ভাঙেন জসপ্রীত বুমরাহ। চা বিরতির একটু পর তার অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি খোঁচা মেরে গালি অঞ্চলে পাঠিয়ে দেন জাকির। বাম দিকে নিচু হয়ে দারুণ একটি ক্যাচ নেন ইয়াশভি জায়সাওয়াল। ফেরার আগে ৪৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন জাকির।

জাকির ফেরার পরও ভালোভাবেই খেলছিলেন সাদমান ইসলাম। যদিও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ঘূর্ণিতে ফিরে গেছেন তিনি। তার শর্ট ডেলিভারি পিচ করার পর কিছুটা মন্থর হয়, ব্যাকফুটে থাকা সাদমানের ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ উঠে যায়। সামনে ডাইভ দিয়ে ক্যাচটি তালুবন্দি করেন গিল। ফলে ৬৮ বলে তিনটি চারে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে ফিরতে হয় সাদমানকে।

সাদমান ফেরার পর নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন মুমিনুল হক। তবে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ককে ‍বড় ইনিংস খেলতে দেননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ডানহাতি অফ স্পিনারের দারুণ এক ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন মুমিনুল। প্রথম ইনিংসে গোল্ডেন ডাক মারা বাঁহাতি ব্যাটার এবার ফিরেছেন ১৩ রানে।

চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনে এসে উইকেট থেকে বাড়তি সুবিধা পেতে শুরু করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সেই সুবিধাকে কাজেও লাগাচ্ছেন ডানহাতি এই অফ স্পিনার। অশ্বিনের ওভারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলটি মিস করেছিলেন মুশফিক। পরের বলটি বাড়তি টার্নে আঘাত করেছিল মুশফিকের কোমড়ের একটু উপরে। ভারতের স্পিনারকে খেলতে পরের বলে সুইপ করে ছক্কা মেরেছেন তিনি। ছক্কা মারার পরের বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিড অনে থাকা লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিক। অন ফিল্ড আম্পায়াররা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকায় টিভি আম্পায়ার শেষ পর্যন্ত আউট দিয়েছেন ১৩ রান করা এই ব্যাটারকে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.