টানা বর্ষণে ভেসে গেছে খুলনা জেলার ৬০ ভাগ মাছের ঘের

আগের সপ্তাহে খুলনায় তিন দিন ধরে চলা টানা বর্ষণে জেলার ৬০ ভাগ মাছের ঘের ভেসে গেছে, ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমন ও সবজি চাষিরাও।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলা।

খুলনা জেলা মৎস্য অফিসের দেওয়া তথ্য বলছে, অতিবর্ষণে খুলনার নয় উপজেলার মধ্যে সাতটির ১ হাজার ৫৪৯টি পুকুর ও খামার, ৮ হাজার ৪৬৭টি ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ফিন ফিশ (সাদা মাছ) ৫ হাজার ৮৪৫ টন, চিংড়ি ৭ হাজার ৩৭৩ টন, ২০৫ লাখ পোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে খুলনার মৎস্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৯৯ কোটি টাকার বেশি।

আর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, টানা বৃষ্টিতে জেলায় ৮৫ হাজার ৬০০ হেক্টর আমন ধানের ক্ষেত কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর পাঁচ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা আগাম শীতকালীন সবজিসহ অন্য ফসলের মধ্যে দুই হাজার ৩২৫ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে।

গত বুধবার তোলা এই ছবিতে যে জায়গাটি দেখা যাচ্ছে সেটি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর এলাকা। এই উপজেলাকে বলা হয় সবজির ভাণ্ডার। বছরে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার মত সবজি বিক্রি হয় এখান থেকে। টানা বৃষ্টিতে এখানকার শীতকালীন সবজি এবং খরিপ-২ মৌসুমের ফসলেরও খুব ক্ষতি হয়েছে।

সেদিন দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে রংপুরের অনেক ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও মাছের ঘের তলিয়ে আছে। সড়কেই চলাচল করছে তালের ডোঙা। এটি বেশ হালকা ও সরু নৌযান। গোটা ডুমুরিয়া এলাকায় এর বেশ চল রয়েছে। এই অঞ্চলের নারীরাও এ নৌযান চালাতে বেশ পারদর্শী।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.