কাঁচাবাজারে আগুন, হাত দেওয়া যাচ্ছে না কিছুতেই  

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মধ্যে পুরো আগস্টে চাল, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। এরপর নিত্য পণ্যের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করে। কিন্তু হটাৎ নেমে আসে ভারত থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি ঢলের ভয়াবহ বন্যা। এরপর পাইকারি বাজারে আবারও বাড়ে চাল ডালসহ নিত্য পণ্যের দাম। যার প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারেও।

তবে গত দুই সপ্তাহ নিত্য পণ্যের দাম কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও আজকে গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় সকল সবজির দাম প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া চাল-ডাল ও মাছ মাংসের দাম দাম এখনো কমেনি। বাজারে চওড়া মূল্যে নিত্যপণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে। এতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ ।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর এজিবি কলোনি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে কাঁচা বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি সাদা আলু (হলেন্ডার) ৬৫ টাকা ও লাল আলু ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বেগুন ১১০ টাকায়, পটল ৬০ টাকায়, পেপে-৪০ টাকায়, কাঁচামরিচ ২৪০ টাকায়, লাউ ৬০ টাকায়, ঝিঙা ৫০ টাকায়, করলা ৮০ টাকায়, মুলা ও মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকায়, প্রতিটি চাল কুমড়া ৪৫ টাকায়, গাজর ১৭০ টাকায় এবং সিম ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ১৬০ টাকায়, ঢেড়স ৬০ টাকায়, কাকরোল ৭০ টাকায়, সিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমে ১২০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। আর প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়।

এদিন দেখা যায়, চালের মধ্যে প্রতি কেজি আটাশ গত সপ্তাহের চেয়ে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। আর প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকায়। দেশি মুসরির ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ ও ইন্ডিয়ান ১১০ টাকা প্রতি কেজি এবং মুগের ডাল ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এজিবি কলোনি বাজারের ব্যবসায়ী সবুজ আলী জানান, বন্যার কারণে কাঁচা সবজি নষ্ট হওয়ায় পাইকারি বাজারে আমদানি কম হচ্ছে। ফলে গত ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে কাঁচা বাজারে সকল সবজির দাম প্রায় ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দাম দ্বিগুন ছাড়িয়ে গেছে। এতে করে কিছুটা কমেছে বেচা বিক্রি।

ইসমাইল হোসেন নামে একজন ক্রেতা বলেন, কাঁচা বাজারে প্রায় সকল সবজির দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের বাইরে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত হবে বাজার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট মাছ কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, টাকি মাছ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি রুই ছোট সাইজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং বড় সাইজের রুই ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে। অপর দিকে এক কেজির ওপর ওজনের (গ্রেড) প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। আর ৭০০-৯০০ গ্রাম (মাজলা) ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায়।

অপর দিকে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়। তবে সোনালীর আরেকটি জাত বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়।

এদিকে ব্রয়লার ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা ডজন এবং ডজন প্রতি হাঁসের ডিম ২৩০-২৪০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।

অর্থসূচক/এএকে/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.