ঢাবিতে পিটিয়ে হত্যা: নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা জালাল মিয়া

ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়ার নেতৃত্বে চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জল হোসেন পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৫ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

তারা হলেন- ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জালাল মিয়া (২৫), মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া (২১), পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ (২৪) এবং জিওগ্রাফির আল হোসেন সাজ্জাদ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জালাল মিয়ার নেতৃত্বে ঘটে এ হত্যাকাণ্ড।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

হলের প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হল গ্রুপে ৮টার সময় দেখি চোর ধরা পড়েছে। হলের গেস্ট রুমে গিয়ে দেখি চোর বসা। রুমে তখন প্রথমবর্ষ-দ্বিতীয় বর্ষের অনেক ছেলে ছিলেন। গেস্ট রুমে তাকে বেশি মারা হয়নি। ওখানে হালকা মারার পর ক্যান্টিনে নিয়ে আসে খাওয়ানোর জন্য। তারপর শুনি চোরকে এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ের গেস্ট রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি ওখানে গিয়ে দেখি ২০-২১, ২১-২২ ও ২২-২৩ সেশনের ব্যাচ। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন। ২০-২১ আর ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি মেরেছে। দু-তিনজন মিলেই তাকে সেখানে মেরে ফেলেছে।’

শিক্ষার্থীরা জানান, সেখান থেকে তাকে মেইন বিল্ডিংয়ের গেস্ট রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাউজ টিউটররা তাকে প্রক্টোরিয়াল টিম ডেকে তুলে দিতে বলেন। কিন্তু তাদের কথা না শুনেই বরং শিক্ষকদেরই সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।

ঘটনা জানিয়ে আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘এত মারলে কেউ বাঁচতে পারে না। তার মাংসগুলো পড়ে গেছে। গোপনাঙ্গেও প্রচুর আঘাত করা হয়েছে।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.