লেবাননে পেজারের বিস্ফোরণের পর এবার ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণ হয়ে ২০ জনের মৃত্যু এবং কমপক্ষে ৪৫০ জন আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যোগাযোগের মাধ্যমকেই বিস্ফোরক বানিয়ে ফের লেবাননে নাশকতা চালিয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যেও ইজ়রায়েলের হাত রয়েছে বলে মনে করছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে লেবাননের স্বাস্থ্য দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। লেবাননজুড়ে হাজারো পেজার (তারবিহীন যোগাযোগের যন্ত্র) বিস্ফোরণের পর গতকাল বুধবার দেশটিতে আবারও একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। এবার ওয়াকিটকি, ল্যাপটপ, ওয়াকিটকি রেডিও, গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটেছে।
লেবাননের সংবাদ মাধ্যম হিজবুল্লাহর বরাতে জানিছে, হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর ব্যবহৃত ওয়াকি-টকিতেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে কী ভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটল, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। পেজার হামলার মতো এই হামলার ঘটনাকেও নিরাপত্তায় বড় ধরেন ঘাটতি বলে মনে করছে লেবাননের সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি।
অন্য দিকে, মঙ্গলবারের পেজার হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২। দু’টি হামলা মিলিয়ে লেবাননে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন হাজার জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। দ্বিতীয় হামলার নেপথ্যে ইজ়রায়েলের সশস্ত্র সংগঠন মোসাদ রয়েছে বলে মনে করছে হিজবুল্লাহ।
যদিও হিজবুল্লাহর অভিযোগের দুই’টি হামলার বিষয় নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোন মন্তব্য করে নি ইসরায়েল। তবে বিস্ফোরণের ঘটনার পর নিজেদের সেনাদের প্রশংসা করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, ‘আমরা যুদ্ধের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা পর্বে রয়েছি। এখন আমাদের সাহস, সংকল্প ও উদ্যম দরকার।’
নিজেদের সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া ওই বক্তৃতায় গ্যালান্ট ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রশংসা করে বলেন, ‘আপনাদের কাজের ফলাফল বেশ চমৎকার।’
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এর পর পশ্চিম এশিয়ার স্থিতাবস্থা আরও বিঘ্নিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গাজ়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগও ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থসূচক/এএকে/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.