ফরিদপুরে ভারী বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় কয়েক দিনের টানা বর্ষণে মাঠে রোপা আমন, নাসিক জাতের পেঁয়াজ, মাসকলাই, ফল, সবজি, বেগুন, পেঁপে মরিচসহ বিভিন্ন শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে ডুবে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের কপালে।

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার টগরবন্দ, গোপালপুর, বুড়াইচ, বানা, পাচুড়িয়া, সদর ইউনিয়নের ফসলের মাঠ তলিয়ে গেছে। এছাড়া নষ্ট হওয়ার পথে শত শত বিঘা জমির ফসল।

টিকরপাড়া গ্রামের কৃষক পলাশ মাহমুদ জানান, ‘আমার তিন বিঘা জমির রোপা আমন তলিয়ে গেছে। পেঁপের ক্ষেত পুরোটায় নষ্ট হওয়ার পথে।’

বরই চাষি পৌরসভার বাকাইল গ্রামের একজন উদ্যোক্তা আল মাহমুদ বলেন, ‘বরই গাছ তলায় বৃষ্টির পানি জমেছে। পানি দ্রুত নিষ্কাশিত না হলে গাছ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বৃষ্টি চলমান থাকলে ক্ষতি আরও বাড়বে বলে মনে করছেন কৃষকরা।

সড়ারকান্দী গ্রামের অনেকের মাছের ঘের তীব্র ঝুঁকির মুখে। ঘেরের পাড় ভেঙে গেছে। যেকোনো সময় পুরোপুরি ভেঙে মাছ বেরিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া ঘেরের পাশের রোপা আমন ধানও পানিতে তলিয়ে গেছে। পাড়ে লাগানো পেঁপে গাছেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সড়ারকান্দীর আলমগীর হোসেন জানান, ‘৫ বিঘা জমির রোপা আমন তলিয়ে গেছে। পেঁপে, মরিচের ক্ষেতেরও অনেক ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত পানি না শুকালে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়া লাগবে। নাসিক জাতের পেঁয়াজের বীজতলায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।’

গোপালপুর ইউনিয়নের কাতলাসুর গ্রামের ড্রাগন, লেবু, পেয়ারা চাষি জাহিদ ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ড্রাগন গাছ, লেবু, পেয়ারা বাগানে পানি জমায় তারও চিন্তার শেষ নেই।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, বৃষ্টিতে মাশকলাই আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে ৩২ হেক্টর। সাময়িক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ২৫ জন। সবজি আংসিক নিমজ্জিত ২৩ হেক্টর। সাময়িক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ৩০০ জন। রোপা আমন আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে ৩৫০ হেক্টর, সম্পূর্ণ নিমজ্জিত ৭৫ হেক্টর, সাময়িক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ১৯০০ জন। ফল ১ হেক্টর, সাময়িক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ২০ জন।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.