ফের ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক স্লোগানকে বিকৃত করায় আবারও ‌‘তুমি কে আমি কে-রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে-স্বৈরাচার স্বৈরাচার’ স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাবির হলপাড়া থেকে ১৪ জুলাইয়ের পুনর্মঞ্চায়ন করে স্লোগান নিয়ে বের হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমায়েত হন। পরবর্তী সময়ে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’; ‘কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’; ‘বিকৃতি চলবে না, সাক্ষী আছে জনতা’; ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’; ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’; স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই বিপ্লব কোনও সমন্বয়কের নয়, মাস্টারমাইন্ডের নয়। জামায়াত-শিবির, বিএনপি কিংবা ছাত্রদলের নয়। এই বিপ্লব- ছাত্র-জনতার, যাত্রাবাড়ীর, রামপুরার, উত্তরার এবং সারা বাংলাদেশের।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক ইবনে আলী বলেন, ‘অভ্যুত্থানের দুই মাস যেতে না যেতেই ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা শুরু করছে একদল অপতৎপরতাকারী। তারা সহস্রাধিক শহীদের রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি চিহ্ন মুছে দিতে চায়। মুগ্ধ-আবু সাঈদের সহোযোদ্ধারা এই চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে দিবে না।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের ‘নাতি-পুতি’ আখ্যা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ জুলাই রাতে এ স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর সেই স্লোগানের দুই মাসপূর্তি। দুই মাসপূর্তির এ দিনে কয়েকজন সমন্বয়ক স্লোগানটিকে বিকৃত করে অন্য একটি স্লোগান প্রচারের চেষ্টা করে। যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আবার এই স্লোগান নিয়ে মিছিল বের করে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.