দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশিলতা রক্ষায় সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহিত, বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার দফায় দফায় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজার ভিত্তিক করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি প্রণয়ন, টাকার সরবরাহ হ্রাস, সুদের হার দফায় দফায় বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজার ভিত্তিক করা এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যয়ন এবং ক্রলিং পদ্ধতিতে ডলারের দর নির্ধারণের বিষয়গুলো জানানো হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত পৃথক বৈঠকে গভর্নর ড আহসান এইচ মনসুর এসব বিষয়ে জানিয়েছেন।
বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, রিজার্ভ সংরক্ষণে বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসরন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে (আইএমএফ) ব্যয়যোগে রিজার্ভের (এনআইআর) তথ্য প্রদানের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এছাড়া ব্যাংক খাতের সংস্কার, সময়সিমা বেধে দিয়ে খেলাপি আদায়ের মাধ্যমে কারল্য ঘাটতি দুরীকরণ, পরিদর্শনের মাধ্যমে অনিয়ম উদ্ঘাটন, এবং আর্থিক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে প্রণীত রূপরেখার বিষয়ে তুলে ধরেন গভর্নর।
ঢাকায় সফররত বিশ্ব ব্যাংক এবং এশীয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) উচ্চ প্রতিনিধি দল ২ দশমিক ২০ বিলিযন ডলারের ঋণ প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশকে।
এরমধ্যে রয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের পলিসি ভিত্তিক ঋণ (পিবিএল) ঋণ ৭৫০ মিলিয়ন ডলার এবং এডিবির ইনভেস্টমেন্ট ঋণ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের পক্ষ থেকে কোন ঋণ প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করেনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলারের একটি অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিও সই করেছে পৃথক এক বৈঠকে।
অর্থসূচক/এমএইচ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.