সৈকতে হিজড়াকে মারধর করা সেই তরুণ ডিবি হেফাজতে

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে এক হিজড়াকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় ফারুকুল ইসলাম (২২) নামের এক তরুণকে হেফাজতে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে কক্সবাজার শহরের বাজারঘাটা এলাকা থেকে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পুলিশ হেফাজতে থাকা ফারুকুল ইসলাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এলাকার মাজেদুল ইসলামের ছেলে। তিনি কক্সবাজারের বাহারছড়া এলাকায় বসবাস করেন।

কক্সবাজার ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফারুকুলকে রুমালিয়ার চর এলাকায় তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।’ এ বিষয়ে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারে সম্প্রতি একদল পুরুষের হাতে বেশ কয়েকজন নারী হয়রানি ও লাঞ্ছিত হয়েছেন, এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফারুকুলের নেতৃত্বে একটি দল গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও লাল দীঘি এলাকায় নারীদের ওপর হামলা চালায়।

এএফপি ফ্যাক্ট চেক-এর বাংলাদেশ সম্পাদক কদরুদ্দীন শিশিরও ওইসব হামলার ভিডিও বিশ্লেষণ করে ফারুকুলের পরিচয়ের সত্যতা যাচাই করেছেন।

এর আগে, শুক্রবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করে। যেখানে দেখা যায়, সমুদ্রসৈকতে এক হিজড়াকে কান ধরে ওঠবস করানো হচ্ছে। তাকে ঘিরে রেখেছে জনা বিশেক যুবক। বেশির ভাগের হাতে ভিডিও ধারণরত মোবাইল। সেখানে ওই হিজড়াকে হাতের লাঠি দিয়ে প্রহার করে তাকে বিচ থেকে চলে যেতে বলা হচ্ছে।

আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন নারী বিচে বসে আছেন। কয়েকজন সেখানে হাজির হয়ে জানতে চান- ‘এখানে কী করেন, মহিলা মানুষ রাত ১২টায় এখানে কেন?’ বলতে বলতে মারার ভঙ্গি করলে পেছন থেকে আরেকজন বলে ওঠে- ‘ক্যালানি দিতে দিতে আসতেসি, বুঝতে পারসেন? ক্যালানি খাবেন? ছলে যান ছলে যান।’ আরেকজন বলে উঠছেন, ‘পুরা বিচের পরিবেশ এরা (এই নারীরা) নষ্ট করে ফেললো।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.