মহারাষ্ট্র রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কৃষকদের আয় বাড়াতে পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (এমইপি) প্রত্যাহার করেছে ভারত সরকার। দীর্ঘ ৪ মাস ৯ দিন পর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটি। এতে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি যেমন বাড়বে তেমনি দাম কমে আসবে বলে দাবি করেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।
ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য হিসেবে প্রতিটন পেঁয়াজের দাম ৫৫০ ডলারে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ, এতদিন কৃষকরা এই দামের চেয়ে কম দামে বিদেশে তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারতেন না।
ডিজিএফটি’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (এমইপি) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
ভারতের খুচরা বাজারে এখনো রান্নাঘরের অন্যতম এই অনুষঙ্গটি উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে। তা সত্ত্বেও ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য প্রত্যাহারের এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হলো।
দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব কনজ্যুমারস অ্যাফেয়ার্সের তথ্য অনুসারে, গতকাল শুক্রবার সারা ভারতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের গড় দাম ছিল ৫০ দশমিক ৮৩ রুপি। এক্ষেত্রে অঞ্চলভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৮৩ রুপি ও সর্বনিম্ন ২৮ রুপিতে বিক্রি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ অক্টোবর রফতানি মূল্য বাড়িয়ে ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ভারত। সে দামেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছিলেন আমদানিকারকরা। পরে বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ৭ ডিসেম্বর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার পরিচালক জেনারেল সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে। েএরপর থেকেই হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। গত ২৩ মার্চ সেই মেয়াদের সময়সীমা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য রফতানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। যা ৪ মে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রত্যাহার করে নেয় দেশটির সরকার। কিন্তু রফতানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে রেখেছিল তারা।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.