প্রথম দফায় গত জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে চাল, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। এরপর এসব পণ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করার পরে দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। এরপর পাইকারি বাজারে আবারও চালের দাম বেড়ে যায়, যার প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারেও। চালের দাম এখনো কমেনি। তবে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন ক্রেতারা।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিন দেখা যায়, চালের মধ্যে প্রতি কেজি আটাশ বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। আর প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যার কারণে পাইকারি বাজারে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছিলো। যা এখনো কমেনি বলে আড়তদারা আমাদেরকে জানিয়েছে। এজন্য খুচরা গ্রাহকদের কাছেও সেই বাড়তি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের।
এদিকে সবজির বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, কাঁচামরিচ ২০০ টাকায়, পটল ৪০ টাকায়, লাউ ৬০ টাকায়, ঝিঙা ৫০ টাকায় এবং করলা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ১২০ টাকায়, ঢেড়স ৪০ টাকায়, কাকরোল ৬০ টাকায়, বেগুণ ৭০ টাকায়, সিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে পেঁয়াজ ১১০ টাকা থেকে ১২০ টা্কায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আর প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির ওপর ওজনের (গ্রেড) প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। আর ৭০০-৯০০ গ্রাম (মাজলা) ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায়।
এদিকে ব্রয়লার মুরগীর দাম ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। তবে সোনালীর আরেকটি জাত বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়।
অর্থসূচক/এমএইচ



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.