প্রায় ৯৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাচ্চুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন।
আদেশে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই মামলায় আরেক আসামি লে মেরিডিয়ান ঢাকার মালিক আমিন আহমেদ জামিনে রয়েছেন। তবে বাচ্চু ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক আছেন।
গত ২৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে বাচ্চু, তার স্ত্রী শিরিন আক্তার, আমিন আহমেদসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্ত কর্মকর্তা বাচ্চু এবং অন্য চার জনকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন।
গত বছরের ২ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাচ্চু আমিন আহমেদের কাছ থেকে ১১০ কোটি টাকায় ৩০ দশমিক ২৫ কাঠা জমি কিনলেও দুটি দলিলে সম্পত্তির মূল্য দেখানো হয় ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। জমির দাম বাজার মূল্যের চেয়ে কম দেখানো হয়েছে তা নিশ্চিত করতে আমিন সহায়তা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে বাচ্চু তার স্ত্রী শিরিন ও ছেলে রাফা ও অনিকের কাছে জমি হস্তান্তর করেন। বাচ্চু তার অবৈধ আয় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং রেজিস্ট্রেশনে জমির মূল্য ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা কম দেখিয়ে সরকারকে ৮ কোটি ৫২ লাখ টাকার বেশি রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করেন।
গত বছরের ১২ জুন ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাতের ৫৯টি মামলায় বাচ্চুসহ ১৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.