ইরাক সফরে ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট

ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো সবচেয়ে নিকট প্রতিবেশি ও ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ ইরাক সফরে গেছেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ইরানের বার্তা সংস্থা ইসনার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩ টায় তিনি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে পৌঁছেছেন। তেহরান এবং ওয়াশিংটন উভয় দেশেরই কৌশলগত মিত্র দেশ হিসেবে পরিচিত ইরাক। ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটি বন্ধুত্ব বজায় রেখেছে তারা।

পেজেশকিয়ান তার এই আনুষ্ঠানিক সফরের আগে বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা করছি। আমরা বাগদাদে ইরাকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করবো।

ইরাক থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীকে প্রত্যাহারের পরিকল্পনার বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে ইরাক এবং যুক্তরাষ্ট্র। একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরাকে ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনাদের ওপর বারবার হামলা চালাচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পেজেশকিয়ান ইরাকের কুর্দিস্তান সফর করার বিষয়েও পরিকল্পনা করেছেন। এটি এমন একটি অঞ্চল যেখানে ইরান অতীতে হামলা চালিয়েছে।

তেহরানের দাবি, ইরানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি তাদের চিরশত্রু ইসরায়েলের এজেন্টদের জন্য একটি মঞ্চস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ওই অঞ্চল।

আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর বিষয়ে ইরানের উদ্বেগ মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে বাগদাদ।

তেহরানের সঙ্গে ২০২৩ সালের একটি নিরাপত্তা চুক্তি অনুযায়ী কিছু সদস্যকে স্থানান্তরিত করবে তারা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি ইরাকের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সফরের আগে বলেছেন, রাজনৈতিক, আঞ্চলিক এবং নিরাপত্তা সমস্যাসহ আমাদের বেশ কিছু সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে।

অর্থসূচক/এএকে/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.