পুঁজিবাজারের দুটি ব্রোকারহাউজের পরিচালক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইওদের ব্যাংক হিসাব ও বিও হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণেও দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে- ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ ও পিএফআই সিকিউরিটিজ।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এর সভাপতিত্বে ৯২০ তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মূখপাত্র ফারহানা ফারুকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কনসোলিডেটেড কাস্টমারস অ্যাকাউন্টের ঘাটতি পূরণের জন্য ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর সময় বৃদ্ধির আবেদন নামঞ্জুর করে বিএসইসি। একইসাথে ২২ মার্চ, ২০২২ তারিখে ইস্যুকৃত কমিশনের নির্দেশনা নং- বিএসইসি/এসআরআই/সিসিএ/ডিএসই/২০২১/২১২ এ উল্লেখিত সকল শর্ত পুনরায় আরোপ করা হয়।
এছাড়াও, প্রতিষ্ঠান দুটির পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সিইও এর সকল ব্যাংক হিসাবের উত্তোলন বন্ধ (Debit suspension) করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কে পত্র প্রেরণ এবং উক্ত ব্যক্তিবর্গের সকল বিও হিসাব অবরুদ্ধকরণের জন্য সেন্ট্রাল ডিপজিটরী বাংলাদেশ লিমিটেডকে নির্দেশনা প্রদান করে বিএসইসি।
আলোচ্য স্টক ব্রোকার কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক/সিইও এর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের জন্য পুলিশের বিশেষ শাখা বরাবর অনুরোধ পত্র প্রেরণ করা হবে বলেও জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
অন্যদিকে, গত ২১ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ঘাটতি ছিলো ৭ কোটি ৭৪ লাখ ০৮ হাজার ৭২ টাকা এবং ২০ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে পিএফআই সিকিউরিটিজের ঘাটতি ছিলো ২৮ কোটি ১৮ লাখ ০৫ হাজার ৭০৮ টাকা।
অর্থসূচক/এমআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.