ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের সংখ্যা জানতে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
সোমবার তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তারা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, বড় কবরস্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠাচ্ছেন।
তিনি বলেন, চিঠির মাধ্যমে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি, কতজন হাসপাতালে গিয়েছেন, চিকিৎসা নিয়েছেন এবং কতজন মারা গিয়েছেন তার তথ্য আমাদের দিতে। আমরা বড় বড় কবরস্থানের কর্তৃপক্ষকেও চিঠি দিচ্ছি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হয়েছে তা জানতে উপাচার্যদের কাছেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অন্তত ৬৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়। পরে সেই আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.