নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা উঠানোর পরেও গ্রাহক কম ব্যাংকে

ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোল‌নে বেঁধে দেওয়া সীমা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে টাকা উত্তোল‌নের সীমা তুলে দিলেও ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক সংখ্যা কম।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা ও পল্টন এলাকার বেশ কয়েকটি ব্যাংকের শাখা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিন বেলা ১১টার দিকে মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেখা গেছে, নগদ টাকা জমা কাউন্টারে কিছু গ্রাহক রয়েছেন। তবে নগদ টাকা গ্রহণ কাউন্টারগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। অর্থাৎ গ্রাহক উপস্থিতি একেবারে কম।

ব্যাংকটির একজন কর্মকর্তা বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এখনো অনেক গ্রাহকের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুতই ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরবে।

এদিকে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে এখন থে‌কে গ্রাহ‌ক তার প্রয়োজন মতো ব্যাংক থে‌কে নগদ টাকা তুলতে পারবেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক লুটপাট, দুর্নীতি ও পুঁজিবাজারে কারসাজি করে অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থ-বৈভবের মালিকরা যেন টাকা পাচার করতে না পারে এ জন্য সতর্ক কর‌তে নগদ টাকা উত্তোল‌নের সীমা বেঁধে দি‌য়ে‌ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব শেষ গত সপ্তাহ সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ পর্যন্ত তোলা যেত।

গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মো. মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার যে সীমা বেঁধে দি‌য়ে‌ছিল রোববার থেকে তা আর থাক‌ছে না।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। এরপর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়। নগদ টাকা পরিবহনে নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া অনেকেই ব্যাংক থেকে বেশি নগদ টাকা তুলে ব্যাংক খাতকে অস্থিতিশীল করতে পারে, এমন আশঙ্কাও করা হয়েছিল। সে জন্য ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা আরোপ করা হয়। যদিও প্রতি সপ্তাহেই সীমা বাড়ানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার প্রথম সপ্তাহে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ তোলা যেত। পরের সপ্তাহ তা বাড়িয়ে দুই লাখ করা হয়। পরের তিন সপ্তাহ তা আরও বাড়িয়ে যথাক্রমে তিন, চার ও পাঁচ লাখ করা হয়। অর্থাৎ পাঁচ সপ্তাহ ধরে টাকা তোলার সীমা এক লাখ করে বাড়ানো হয়। তবে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা থাকলেও গ্রাহকরা যেকোনো পরিমাণ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারতেন।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.