নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার বীরশ্রেষ্ঠ মতিনগর গ্রামে এক যুবককে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২১ এপ্রিল হত্যার হুমকি দিয়ে এক পর্যায়ে মরহুম লুৎফর রহমানের (কাশেম) পুত্র তানভীর আহমাদকে মারধর করে একদল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
জানা যায়, জেলার রায়পুরা থানার বীরশ্রেষ্ঠ মতিনগর গ্রামে জমা জমি শত্রুতার জেরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আলম বাহিনী এ হত্যার হুমকি দেয়। এরপর একপর্যায়ে মারধরের ঘটনাও ঘটে।
আরও জানা যায়, এই নিয়ে ভুক্তভোগী রায়পুরা থানায় অভিযোগ করে। তবে থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগের বিষয়টি আমলে নেয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলম বাহিনী থানায় তানভীরের বিরুদ্ধে একটি.মাদক এবং হত্যার মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে আলম বাহিনীর ভয়ে তানভীর প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসীন্দা ওসমান গনি বলেন, গত ২১ এপ্রিল আলম বাহিনীর প্রধানের সাথে জমির সীমানা নির্ধারণে সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপের সময় আলমের সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় আলম লোকজন দিয়ে তানভীরকে মারধর করে এবং রাতের আধারে গুম করে দুই দিন আটকে রাখে। একই সময়ে জমির দলিলে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করে সন্ত্রাসী ঘোষ্ঠী।
এছাড়া ভয় দেখিয়ে আলম বাহীনি বলে, সাত দিনের সময় দিলাম যদি জমি ছেড়ে না দেস তাহলে তোকে এলাকার বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা দিয়ে জেলে ভরে দেবো। আর তা না হলে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় পালালেও বের করে হত্যা করে লাস নদীতে ভাসিয়ে দেবো। এরপর থেকেই তানভীর বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগির মা বিষয়টি নিয়ে থানা সহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বরাবরে তানভীরের জানের নিরাপত্তার জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে।
এই বিষয়ে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উক্ত বিষয় অস্বীকার করে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
এক স্থানীয় নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, আলম বাহিনী ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী। তাদের বাংলাদেশের বড় বড় সন্ত্রাসীদের সাথে যোগসূত্র থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা দেশের কোন ব্যক্তি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না।
সর্বশেষ তানভীরের পরিবারের প্রতি নানা ধরনের হুমকি ও তানভীর আহমাদকে মেরে লাস গুম করার হুমকি দিয়ে আসছে আলম বাহিনী।
অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.