হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটি খেলেছেন সাকিব। ব্যাটে-বলে খুব উজ্জ্বল ছিলেন না তিনি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তার তিনটি উইকেট দলের খুব কাজে দিয়েছে। সেই টেস্টের দ্বিতীয় দিন থেকেই হত্যা-মামলা হয় সাকিবের নামে। বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরোটা সময় ছাত্রদের বিপক্ষে অবস্থান নেন সাকিব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রদের পক্ষে কিছুই করতে দেখা যায়নি তাকে। উপরন্তু বাংলাদেশে যখন গণহত্যা চলছিল তখন হাসিমুখে সাকিবের কানাডায় ঘুরে বেড়ানোর ছবি প্রকাশ করেন তার স্ত্রী।
সাকিবের এমন কর্ম আঘাত করে তার সমর্থকদের। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতাকর্মীদের মতো সাকিবও বেশ নিরব।
এদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। নামের পাশে হত্যা মামলা থাকায় ভয়ে দেশেই ফিরেননি সাকিব আল হাসান। সতীর্থরা অবশ্য আগে থেকেই সাকিবের পাশে ছিলেন। এবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে গিয়েও নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চান তারা।
খুনের মামলা নামের পাশে থাকা সাকিবকে নিয়ে দেশে ফিরে শান্ত বলেন, সাকিব ভাইয়ের ব্যাপারটি, এটি ভিন্ন একটি ব্যাপার। তবে প্রত্যেক খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে আছে। এটা আমরা সবাই জানি যে, সাকিব ভাই খেলার জন্য কতটা নিবেদিত এবং খেলার জন্য কতটা পাগল। সবসময় দলের জন্য চিন্তাভাবনা করে থাকেন। যখন দেখা হবে (প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে), এটা নিয়ে যদি কথা ওঠে… প্রতিটি খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে আছে।
গত ৫ আগস্ট রাজধানীর আদাবর থানায় গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় ১৫৬ জন আসামির তালিকায় ২৮ নম্বরে আছে সাকিবের নাম। পরে এই অলরাউন্ডারকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে উকিল নোটিস পাঠানোর কথা জানান একজন আইনজীবী।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.