সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই দৃশ্যপটে নেই বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালকই। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালানোর পর বিসিবির কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি সবশেষ নির্বাচনে জিতে বোর্ডের দায়িত্ব পাওয়া ডজনখানেক পরিচালককে। যাদের মাঝে আছেন বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও।
সপ্তাহখানেক আগে নিজের পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দেন পাপন। বিসিবির সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করলেও পরিচালক হিসেবে বহাল আছেন পাপন। যদিও টানা তিনটি বোর্ড সভায় উপস্থিতি হতে না পারলে হারাতে হবে পরিচালকের পদ।
পাপন পদত্যাগের আগে বিসিবির পরিচালক পদ থেকে অবসর নেন জালাল ইউনুস। পরিচালক পদ বাতিল করা হয় সাজ্জাদুল আলম ববির। পাপন সরে যাওয়ার পর পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু ও নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরি নাদেল। বাংলাদেশের সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন নাদেল।
এবার সেই দলে নাম লেখালেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়। সরকার না থাকায় গা-ঢাকা দিয়েছেন বিসিবির প্রভাবশালী এই পরিচালক। এদিকে নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের শ্যালক টিটুও নেই সরকার পতনের পর থেকে। গুঞ্জন আছে আ জ ম নাছির, শেখ সোহেল, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা, আহমেদ নজিব, মঞ্জুর কাদেরের মতো পরিচালকরাও পদত্যাগ করতে পারেন। কারণ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে তাদের বোর্ডের ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
নিজেরা পদত্যাগ না করলে টানা তিন বোর্ড সভায় অনুপস্থিত থাকার জেরে পরিচালকের পদ হারাতে হবে তাদেরকে। এদিকে মাহবুব আনাম, আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইফতেখার রহমান মিঠু, কাজী ইনাম, ফাহিম সিনহা, সাইফুল আলম চৌধুরী স্বপন ও মঞ্জুর আলমদের সঙ্গে নিয়ে আপাতত বোর্ড পরিচালনা করছেন বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ।
বেশিরভাগ পরিচালক না থাকায় যারা আছেন তাদের মাঝে বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব তুলে দেয়া হতে পারে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনয়ন নিয়ে পরিচালক হওয়া নাজমুল আবেদিন ফাহিম পেতে পারেন গেম ডেভেলভমেন্টের দায়িত্ব। বোর্ড সভাপতি ফারুক নিজে একাই বহন করতে পারেন চারটি বিভাগের দায়িত্ব। সেখানে থাকতে পারে জালাল ইউনুসের ফেলে যাওয়া ক্রিকেট অপারেশন্সও।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.