বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ‘গরম পানি ঢালার’ পরমর্শ দেওয়া অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস গোপনে দেশ ছেড়ে কানাডা পাড়ি জমিয়েছেন। এই শিল্পীর ঘণিষ্ঠজনরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরপরই কানাডা চলে যান তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই আলোচনায় আসে ‘আলো আসবেই’ শিরোনামে হোয়াটসঅ্যাপে শোবিজ অঙ্গনের আওয়ামীপন্থী কিছু অভিনয়শিল্পী ও সাংবাদিকদের গ্রুপের কিছু কথোপকথন।
যেখানে দেখা যায়, গেল জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনে দমাতে ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢালার পরমর্শ দেন অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।
অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতির একটি তথ্যের জবাব দিতে গিয়ে অরুণা পরামর্শ দেন আন্দোলনকারীদের গায়ে ‘গরম জল’ ঢেলে দেওয়ার! তার ভাষ্য ছিল, গরম জল দিলেই হবে।
এছাড়াও ওই গ্রুপে আন্দোলনের পক্ষে যারা প্রোফাইল লাল করেছিলেন তাদের চিনে রাখা এবং পরবর্তী সময়ে ‘সাইজ করার’ হুমকিও দেওয়া যায়।
যেখানে আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে প্রোফাইল ‘লাল’ করায় এক সংগীতশিল্পীকে নিয়ে অরুণা বিশ্বাস লেখেন, ‘বয়স যদি কম থাকতো পিটাইতে পিটাইতে বাবা ডাক শিখাইতাম।’
তার এই আলাপচারিতার অংশ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই অরুণা বিশ্বাসের শাস্তি দাবি করেছেন সহশিল্পী থেকে শুরু করে দেশের জনগণ।
সরকার পতনের পর নিজের কৃতিকর্মের পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরেই দেশত্যাগ করেছেন এই অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যাতে আওয়ামীপন্থী শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন।
এই গ্রুপে ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।
অর্থসূচক/এমএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.