ইসরায়েল জুড়ে ধর্মঘট

গাজায় আটক জিম্মিদের দ্রুত মুক্তির জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আজ পুরো ইসরায়েল জুড়ে ধর্মঘট ডেকেছে ‘হিসতাদরুত’ নামের দেশটির সবচেয়ে বড় শ্রমিক ইউনিয়ন।

গত ৩১ আগস্ট দেশটির সামরিক বাহিনী দক্ষিণ গাজার রাফা শহরের একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি প্রকাশের পরই সড়কে নেমে ইসরায়েলিরা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। দেশ জুড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইসরায়েলি জনগণ। লাখো জনগণ সড়কে নেমে এসে গাজা উপত্যকায় ছয় ইসরায়েলি জিম্মির মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে।

বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায়, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও জিম্মি মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে এই ধর্মঘট বলে জানিছে শ্রমিক সংগঠনটি।

হিসতাদরুত ইউনিয়নের সভাপতি আরনন বার-ডেভিড বলেন, ‘জিম্মিদের উপেক্ষা করা যাবে না। আমার ধারণা, আমরা যদি কোনো ব্যবস্থা না নেই, তাহলে তাদের (কর্তৃপক্ষের) ঘুম ভাঙবে না।’ সোমবার সকাল ছয়টা থেকে ধর্মঘট শুরু হবে এবং ইসরায়েলের সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে। এই ধর্মঘট কবে শেষ হবে, সেটা নিয়ে কিছু জানাননি তিনি।

ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস নিহত জিম্মিদের ৭ অক্টোবর আটক করেছিল। তারা হলেন- কারমেল গাত, ইডেন ইয়েরুশালমি, আলমগ সারুসি, ওরি দানিনো, ইসরায়েলি-মার্কিন নাগরিক হের্শ গোল্ডবার্গ-পোলিন ও রুশ-ইসরায়েলি আলেকজান্ডার লোবানভ।

ইসরায়েল দাবি করেছে, নিহতদের কাছে পৌঁছানোর অল্প সময় আগে হামাসের যোদ্ধারা তাদেরকে হত্যা করে।

যদিও ইসরাইলের বিমান হামলায় দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় একটি সুড়ঙ্গের ভেতরে ছয় ইসরাইলি বন্দী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশক।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যারা প্রতিদিন আমাদের মানুষকে হত্যা করে তারা আমেরিকান অস্ত্রসজ্জিত ইসরাইলি উপনিবেশকারী। গাজায় পাওয়া বন্দিরা আমাদের হামলায় নয় বরং অবিরাম ইসরাইলি বোমাবর্ষণে নিহত হয়েছে।

আল-রিশক আমেরিকার সমালোচনা করে বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যদি সত্যিই ইসরাইলি বন্দিদের জীবন নিয়ে চিন্তা করেন, তাহলে তার উচিত অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন বন্ধ করা এবং অবিলম্বে গাজা আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য ইসরাইলকে চাপ দেয়া।

অর্থসূচক/এএকে/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.