আমরা দুজনই কোটা আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম: আদালতে আনিসুল হক

রিমান্ড শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমরা দুই জনই (তিনি ও সালমান এফ রহমান) কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি নির্দোষ। আদালতের কাছে ন্যায়ের প্রার্থনাকরছি।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ দাবি করেন। এদিন সকাল ৭টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, এমপি সাদেক খান ও বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এরপর রাজধানীর বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনে সুমন সিকদারকে গুলি করে হত্যা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের দশদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই রেজাউল আলম উল্লেখ করেন, সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক মামলার এজাহারনামীয় ৪ ও ৫ নং আসামি। এজাহারে বর্ণিত সহিংস ঘটনার বিষয়সহ ভিকটিম মো. সুমন সিকদারকে (৩১) হত্যার ঘটনা তারা অবগত আছেন। এছাড়া তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের উস্কানি দেওয়াসহ গুলি করে লোক হত্যার নির্দেশ প্রদান করিয়াছে মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।

উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতারের তথ্য জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানী ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে তাকে ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে একসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় বলে জানানো হয়।

ডিএমপির দাবি, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরদিন নিউমার্কেট থানার এক হত্যা মামলায় ১০ তাদের দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৪ আগস্ট লালবাগ ও নিউমার্কেট থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় তাদের আরও ১০ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.