পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরও ৩ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হতে পারে। ব্যাংকগুলো হলো- ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও আইএফআইসি ব্যাংক। গত আওয়ামীলীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে তিনটি ব্যাংকেই ব্যাপক লুটতরাজ হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
ব্যাংক তিনটির মধ্যে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক বা ইউসিবি নিয়ন্ত্রণ করতেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ও তার পরিবার। গত ১৫ আগস্ট পর্যন্ত জাভেদের স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরী ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। গত ১৬ আগস্ট রুখমিলাকে সরিয়ে জাভেদের বোন রোকসানা জামান চৌধুরীকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আছে।
আইএফআইসি ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তার বিরুদ্ধে ব্যাংকিং খাত ও শেয়ারবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নেওয়ার অভিযোগ আছে। সম্প্রতি ঋণ খেলাপির দায়ে সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ান ফজলুর রহমানকে আইএফআইসি ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এক্সিম ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করতেন ব্যাংকিং খাতের আরেক মাফিয়া নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বছরের পর বছর এই ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ দখল করে আছেন। নজরুর ইসলাম মজুমদার বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) এর চেয়ারম্যান হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধেও শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ আছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকিং খাতে লুটতরাজ বন্ধ ও শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে এই খাতের সবচেয়ে বড় লুটেরা সাইফুল আলম মাসুদ তথা এস আলমের খপ্পর থেকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংককে উদ্ধার করা হয়। এই দুটি ব্যাংকের পাশাপাশি ন্যাশনাল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.