দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়াসহ ঘরবাড়ি, ফসল ও গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে খাগড়াছড়ি জেলাতেও বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। এর ফলে এসব অঞ্চলের মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের আওতায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগীতা করার জন্য ‘প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল’-এ অর্থ প্রদান করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, সম্প্রতি ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন অঞ্চল ও রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়াসহ ঘরবাড়ি, ফসল ও গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। অন্যদিকে, অতিবৃষ্টির ফলে খাগড়াছড়ি জেলাতেও বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। আকস্মিক ফ্ল্যাশ ফ্লাড, অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে উক্ত অঞ্চলগুলোর মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এতে আরও বলা হয়, এমন পরিস্থিতির মধ্যে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কার্যক্রমের আওতায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলের অসহায় জনগোষ্ঠীর সাহায্যার্থে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রী (খাদ্য, বস্ত্র, বিশুদ্ধ পানি, জরুরী ঔষধ, শিশুযন্ত ও খাদ্য সামগ্রী, পশুখাদ্য, নৌকা, ফার্স্ট এইড কিটস, পোর্টেবল কুক স্টোভ, পোর্টেবল সোলার লণ্ঠন, পোর্টেবল পিকো হোম সিস্টেম, পোর্টেবল চার্জার, লাইফ জ্যাকেট ও মশারি সংগ্রহের প্রয়োজন হবে। এজন্য তা ‘প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ
এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে বন্যায় নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান।
সচিব বলেন, সার্বিকভাবে ১১ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হচ্ছে না এবং হওয়ার আশঙ্কা নেই। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১১ জেলায় মোট ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন চাল, ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনা ও অন্যান্য খাবার, ৩৫ লাখ টাকার শিশুখাদ্য এবং ৩৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের সব জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসককে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে একসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.