দিনের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন হাসান মাহমুদ। তার অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বলে খোঁচা মেরে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে ক্যাচ দেন শান মাসুদ। শুরুতে অবশ্য আম্পায়ার আউট দেননি। পরে রিভিউ নিয়ে দেখা যায় বল ব্যাটের কানা স্পর্শ করে। ৩৭ বলে ১৪ রান করা মাসুদকে বিদায় করেন হাসান।
পরের ওভারে আবারও উইকেট নিতে পারত বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ দেন বাবর আজম, যা লুফে নিতে ব্যর্থ হন লিটন। ২৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো পাকিস্তান ২৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারাতে পারত, বাবর ফিরতে পারতেন শূন্য রানে।
আবদুল্লাহ শফিকের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েও বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি বাবর আজম। নাহিদ রানার ১৪৬ কিমি গতিবেগের বলে বোল্ড হয়ে যান নাহিদ। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারিতে কাভার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বাবর। তবে টাইমিং মিস করায় ব্যাটের কানায় লেগে বলটি আঘাত হানে লেগ স্টাম্পে। ফেরার আগে ৫০ বলে ২২ রান করেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
পরের ওভারেই সাকিবের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন সাউদ শাকিল। প্রথম ইনিংসে ১৪১ রান করা এই ক্রিকেটার টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার শূন্য রানে ফিরেলেন। ৬৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল পাকিস্তান ।
এদিকে শুরু থেকেই বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে খেলছিলেন শফিক। যদিও পাকিস্তান যখন বাংলাদেশ থেকে ১৩ রান পিছিয়ে তখনই সাকিবের বলে ফিরে যান তিনি। বাঁহাতি এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন শফিক।
ক্যাচটি তালুবন্দী করতে ভুল করেননি সাদমান ইসলাম। ফেরার আগে ৮৬ বলে তিনটি চারে ৩৭ রান করেন শফিক। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে পাকিস্তানের ইনিংসে আবারও আঘাত হানেন মিরাজ। সাকিব দুই উইকেট নেয়ার পর আঘা সালমানকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন সালমান। দারুণ একটি ক্যাচ লুফে নেন সাদমান ইসলাম। ১০৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ।
অর্থসূচক/এএকে/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.