অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালায় শিথিলতা

ব্যাংকগুলোর দাবির মুখে অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালায় ব্যাপক শিথিলতা ফিরিয়ে আনলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকগুলো নিজেদের দেশের ভেতরের তহবিলের উৎস থেকে মূলধনের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত তহবিল বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

তবে কোন ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং অপারেশনের (ওবিও) মাধ্যমে ডমেস্টিক ব্যাংকিং ইউনিট (ডিবিইউ) তহবিলের স্থানান্তর ৩০ শতাংশের সীমা অতিক্রম করলে তা চলতি বছরের ডিসেম্বেরর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেশীয় তহবিল বন্ধ করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও এ ধরণের সুবিধা ২০১৯ সালে চালু করা হয়। তবে তহবিল স্থানান্তরের পরিমাণ ২০২০ সালের জুন থেকে গত বছরের জুন পর্যন্ত ২০ শতাংশ। আর বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের বাইরে থেকে তহবিল সংগ্রহ করে রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানের মাঝে বিতরণের জন্য ১৯৮৫ সাল থেকে বাংলাদেশে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দেয়া হয়। বিদ্যমান নীতিমালার আলোকে অফশোর ব্যাংকিংয়ের জন্য সিআরআর ৪ শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ সংরক্ষণ করতে হয়।

অফশোর ব্যাংকিং হলো ব্যাংকের ভেতরে পৃথক ব্যাংকিং সেবা। প্রচলিত ব্যাংকিং বা শাখার কার্যক্রমের চেয়ে ভিন্ন অফশোর ব্যাংকিং। কারণ এ জাতীয় কার্যক্রমে আমানত গ্রহণ ও ঋণ দেওয়ার দুই কার্যক্রমই বৈদেশিক উৎস থেকে আসে ও বিদেশি গ্রাহকদের দেওয়া হয়।

অর্থসূচক/

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.