শাজাহান খান’সহ ৫ এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও শ্রমিকনেতা শাজাহান খানসহ আওয়ামী লীগের আরও পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) দুদকের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অভিযুক্তদের তালিকায় বাকিরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, সাবেক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল এবং তাঁর সহধর্মিণী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল।

২০১৪ সালে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানকে তলব করেছিল দুদক। ২০০৮ সালে শাজাহান খানের অস্থাবর সম্পদ ছিল প্রায় ৫৭ লাখ টাকার। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকায়।

এছাড়া, শাজাহান খানের দুটি গাড়ি রয়েছে, স্ত্রীর নামে ৯৬ ভরি সোনা, দুটি বাস, একটি গাড়ি ও একটি মাইক্রোবাস। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে রয়েছে রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে ক্ষমতাসীন সরকারের চাপের মুখে দুদকে আটকে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে চলা অনুসন্ধান।

এদিকে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। দিনাজপুর-৫ আসন থেকে টানা আটবার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি এখনো জানা যায়নি।

২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় হেনরীর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র আড়াই লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে হেনরী শুধু ২০২০-২১ অর্থবছরেই ৩২ কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন। নিজ জেলা সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, পটুয়াখালী ও রাজধানী ঢাকায় তাঁর অঢেল সম্পদ অর্জনের সত্যতা পায় দুদক। এর মধ্যে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জে গড়ে তুলেছেন ‘হেনরী ভুবন’।

অপু উকিলের বিরুদ্ধেও রয়েছে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। অভিযোগ আছে, অবৈধ সম্পদের অর্থ দিয়ে ঢাকার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডের ১৫ নম্বর বাড়িতে দুই ইউনিটের ৭ তলা তথা ১৪টি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। ধানমন্ডি ১১ নম্বর রোডের ৪০ নম্বর বাড়িতে ৩টি ফ্ল্যাট, নেত্রকোনা জেলাধীন কেন্দুয়া পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত সাউদপাড়ায় রাজকীয় ব্যয়বহুল বাড়ি করেছেন অপু উকিল।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.