সুপ্রিম কোর্টে উঠল ভারতের চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যা মামলা

অবশেষে সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে ভারতের কলকাতায় তোলপাড় সৃষ্টি করা আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষানবীশ চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যা মামলা। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানি শুরু হবে।

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে ৩ জন বিচারপতির একটি বেঞ্চ মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। খবর এনডিটিভি।

গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরে জানা যায় যে ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল।

ইতোমধ্যে এ ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ, যিনি পেশায় ছিলেন সিভিক ভলান্টিয়ার। হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ধৃতকে হেফাজতে নিয়েছে তাঁরা।

ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে বিচার এবং প্রকৃত দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ। সেই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিরোধীরা।

এই ঘটনার তদন্তের ভার প্রথমে পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে ঘটনার সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্টের গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর পুলিশকে মামলাটির তদন্তভার ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ক্রিমিনাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) হাতে ন্যাস্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে ইতোমধ্যে আর জি কর মেডিকেল হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দ্বীপ ঘোষ ইতোমধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তাকে নিয়মিত জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই।

ইতোমধ্যে নিহত ওই চিকিৎসকের ময়না তদন্তের রিপোর্ট এসেছে। সেই রিপোর্ট অনুসারে, নিহতের মাথা, গাল, ঠোঁট, নাক, ডান চোয়াল, চিবুক, গলা, বাঁ হাত, বাঁ কাঁধ, বাঁ হাঁটু, গোড়ালি এবং যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। ফুসফুসে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। এছাড়া দেহের আরও কিছু অংশেও জমাট বেঁধেছিল রক্ত।

এছাড়া নিহতের ‘এন্ডোসার্ভিক্যাল ক্যানাল’ থেকে ‘সাদা ঘন চটচটে তরল’ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। তবে সেই তরল কী, তার বলা হয়নি।

“শ্বাসরোধ করার কারণে মৃত্যু। মৃত্যুর ধরন খুন। যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক কিছু প্রবেশ করানোর মেডিক্যাল প্রমাণও রয়েছে। যৌন হেনস্থার সম্ভাবনা,” উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।

অর্থসূচক/ এইচএআই

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.