ওরিয়নের ১০৬ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি দেখানোর নির্দেশ

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের কাছ থেকে বার বার সময় নিয়েও সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। ফলে প্রতিষ্ঠানটির ১০৬ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখাতে ব্যাংকটিকে নির্দেশনা দিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।

পাশাপাশি সোনালী ব্যাংককে ২২ আগস্টের মধ্যে ঋণের যথাযথ শ্রেণিবিভাগ করে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বকেয়া ঋণ গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত খারাপ ঋণ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ ছিল। কোম্পানিটি তখন পর্যন্ত চারটি কিস্তি পরিশোধ করতে পারেনি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ অনুমতির ওপর ভিত্তি করে এই ঋণ খেলাপি হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছর বলেছিল, ২০২৪ সালের মে মাসের মধ্যে অনাদায়ী কিস্তি প্রাপ্তির শর্তে ঋণগুলোকে শ্রেণীবদ্ধ না করে রাখতে পারবে সোনালী ব্যাংক।

পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিদর্শন করে দেখতে পায়, গ্রাহক মাত্র দুই কোটি টাকা নগদ পরিশোধ করেছে এবং ১১ জুলাই পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকার বেশি পরিশোধের জন্য ১৫টি চেক দিয়েছে। ফলে ৩০ জুন পর্যন্ত ঋণগুলোকে খেলাপি শ্রেণীভুক্ত করেনি ব্যাংকটি।

ওরিয়নের চেকগুলো দিয়ে এখন পর্যন্ত নগদ অর্থ উত্তোলন করা যায়নি। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে, এই ঋণ খেলাপি হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ না করার সুযোগ নেই।

সোনালী ব্যাংককে দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কিস্তি বাকি থাকায় কোম্পানিটির ঋণ খেলাপি হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করতে হবে।

ঢাকায় মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণে ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে ঋণ দিয়েছে সোনালী ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নথিতে দেখা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির এই ঋণের প্রায় ৩০ কোটি টাকা আসল এবং ৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা সুদ বকেয়া ছিল।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.