সব দোষ কাদের-কামালের, দাবি আনিসের

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শত শত মানুষ হত্যা ও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দায় সাবেক সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ্দুজামান খান কামালের উপর চাপাচ্ছেন সাবেক আইন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এই দায় চাপানোর চেষ্টা করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গোয়ার্তুমির জন্যেও সংকটের সমাধান করা যায়নি বলে ইঙ্গিত করেন আনিসুল হক।

নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) আনিসুল হক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত আসামীদের ১০ দিনের রিমান্ডে দেয়। তখন থেকে তারা ডিবি হেফাজতে আছেন। সেখানেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।

বৃহস্পতিবার রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক দেশে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি তৈরির জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ওপর দোষ চাপান।

ডিএমপি সূত্র গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র অনুসারে, জিজ্ঞাসাবাদে আনিসুল হক দাবি করেন, ‘দেশে ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর আমি একটি সমাধানের দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। আন্দোলন দমনে তারা খুবই এগ্রেসিভ ছিলেন। এছাড়া তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও বাস্তবতা বোঝানো যাচ্ছিল না। এ কারণে আন্দোলন এক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।’

উল্লেখ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কোটা সংস্কার আন্দোলন গত ১৫ জুলাই পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল। ওইদিন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের শায়েস্তা করতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট বলে হুমকী দেওয়ার পরদিন আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে সরকার আন্দোলকারীদের উপর পুলিশ, র‍্যাব, বর্ডার গার্ড লেলিয়ে দেয়। তাতে পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। তাতেও আন্দোলন না থেমে, আরও তেজী হয়ে উঠলে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান।

ওবায়দুল কাদের সেদিন আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে না দিলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ, র‍্যাব নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের হত্যা না করলে পরিস্থিতি হয়তো সরকার পতনের মত অবস্থায় যেত না বলে মনে করেন দেশের বেশিরভাগ মানুষ। যদিও গত ১৫ বছরে আওয়ামীলীগের দুঃশাসন, হত্যা-গুম, লাগামহীন দুর্নীতি ইত্যাদি কারণে দেশের মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিল, তবু তারা ভয়ে কখনো প্রতিবাদ করেনি। আন্দোলনকারীদের নির্বিচারে হত্যা করতে থাকলে মানুষ শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদে ছাত্রদের আন্দোলনে শরীক হয়।

 

 

গত ১৪ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে প্রভাষ আমিন নামের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে না তো কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে? তার ওই বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা ছাড়া বাকী সবাইকে রাজাকার

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.