অনেক এমপি-মন্ত্রীকে ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় দিয়েছি: সেনাপ্রধান

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, জীবন বিপন্ন হতে পারে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এমপি-মন্ত্রী’সহ এমন অনেককেই সেনাবাহিনী আশ্রয় দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, মামলা হয়, সেক্ষেত্রে তাদের বিচারের আওতায় আনা যাবে, শাস্তি হবে।

তিনি বলেন, অবশ্যই আমরা চাইবো না তাদের সঙ্গে বিচারবহির্ভূত হামলা বা কোনো কিছু ঘটুক। যে মতেরই হোক, যে দলেরই হোক জীবনের ওপর হুমকি থাকলে আমরা আশ্রয় দিয়েছি।

ধারণা করা হচ্ছে সেনাপ্রধান কোনো দলের নাম উল্লেখ না করলেও তিনি আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী ও বড় বড় নেতাদেরকে বুঝিয়েছেন। কারণ ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে দলটির এমপি-মন্ত্রী ও নেতাকর্মীরা প্রাণ নাশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, অনেকে আবার ছেড়েছেন দেশ।

দেশ ছাড়ার সময় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ডাক এবং টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান’সহ আরও অনেক নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে রাজশাহী সেনানিবাসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, বহির্বিশ্বের কোনো চাপ নেই, রাষ্ট্রের সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনে সেনাবাহিনী বর্তমান সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনো উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার করা জরুরি। পরিস্থিতি এখন শান্ত হয়ে এসেছে। পুলিশ কিছুটা ট্রমার মধ্যে আছে। ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারলে তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। পুলিশ অনেক থানায় কাজ শুরু করেছে। আমরা পুলিশকে সহায়তা করছি। পুলিশ সম্পূর্ণভাবে যখন কাজকর্ম শুরু করে দেবে তখন পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা ব্যারাকে ফেরত যাব।

রাজশাহী বিভাগের পরিস্থিতি নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, সংখ্যালঘু ইস্যুতে রাজশাহী বিভাগে সেরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এটা অত্যন্ত ভালো দিক। সুন্দর পরিবেশ বজায় আছে। সবাই মিলে কাজ করলে ভালো পরিবেশ থাকবে।

এর আগে তিনি রাজশাহী বিভাগের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.