নতুন রাজধানীতে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো প্রস্তাবিত নতুন রাজধানী নুসানতারায় প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক করেছেন৷ জোকো আগামী অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় এবং শেষ মেয়াদ শেষ করবেন৷

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী বর্তমান জাকার্তার উপর চাপ কমাতেই প্রেসিডেন্ট জোকো নুসানতারায় একটি বিকল্প রাজধানী প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন৷ তবে বিদেশি বিনিয়োগ ও নির্মাণ কাজে বেশি সময় লাগায় প্রকল্পটি শুরু থেকেই নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়৷

জোকো উইডোডো সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর বিদায় নিচ্ছেন৷ তিনি তার মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, নতুন রাজধানী দেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে৷ নতুন রাজধানী নুসানতারা হলো একটি ক্যানভাস যার উপর আমরা ভবিষ্যৎ আঁকতে পারি৷ যে কোনো দেশ চাইলেই শূন্য থেকে নতুন রাজধানী তৈরি করতে পারে না৷

বর্তমান রাজধানী জাকার্তা থেকে প্রায় এক হাজার ২০০ কিলোমিটার (৭৪৫ মাইল) দূরে বোর্নিও দ্বীপের একটি বনভূমিতে নতুন রাজধানীটি নির্মিত হচ্ছে৷

কৌশলগত কারণ ও দেশের সকল অঞ্চলে সমানভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করার জন্যই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ এই প্রকল্পটি হাতে নেয়৷ বর্তমানে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন বহুলাংশেই জাভা দ্বীপের উপর নির্ভরশীল৷ জিডিপির ৫৮ শতাংশই আসে জাভা দ্বীপ থেকে৷ সোমবারের বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ ৩৪ জন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন৷

জোকো উইডাডো এই প্রকল্পে পর্যাপ্ত বিদেশি বিনিয়োগ প্রাপ্তির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী৷ তিনি বিশ্বাস করেন, নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাওয়া প্রাবোও এই প্রকল্পে কাজ চালিয়ে যাবেন৷ ২০ অক্টোবর প্রাবোও-র দায়িত্ব নেয়ার কথা রয়েছে৷

বৈঠক শুরুর আগে প্রাবোও সাংবাদিকদের বলেন, ‘অন্তত আমি এই প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাবো৷ যদি সম্ভব হয় তবে আমি এটি শেষ করবো৷ আমরা জানি, নতুন রাজধানী তৈরি করা কোনো সহজ কাজ নয়৷ এটি একটি সময়সাপেক্ষ ও জটিল কাজ৷’ সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.