মেট্রোরেল চালুর পরপরই রাজধানীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় গণপরিবহনে পরিণত হয়েছিলো এটি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে দুটি স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল চলাচল। আপাতত ওই দুই স্টেশন বন্ধ রেখে আবারও যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত মেট্রোরেল। এখন অপেক্ষা সরকারের সিদ্ধান্তের। কর্তৃপক্ষের সম্মতি পেলে যে কোনো সময় ফের চালু হবে মেট্রোরেল চলাচল।
রোববার (১১ আগস্ট) মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, মেট্রোরেল চালুর বিষয়ে দুই-তিন দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে। এ নিয়ে ডিএমটিসিএল গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন সহসাই চালু হচ্ছে না।
জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘মেট্রোরেল ঢাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় গণপরিবহন। এটা আবার চালুর বিষয় নিয়ে আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছি। তারপর মেট্রোরেল চালুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মেট্রোরেলের কোচ, লাইন ও সংকেত ব্যবস্থার কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের টিকিট বিক্রি ও যাত্রীদের ভাড়া আদায় সংক্রান্ত ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দুটি স্টেশন বাদ দিয়ে বাকি ১৪ স্টেশনের মধ্যে মেট্রোরেল যে কোনো সময় চালু করা সম্ভব।
গত ১৮ জুলাই মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশবক্সে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। ওইদিন বিকেল ৫টায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। পরে ২০ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। এ সময় তিনি মিরপুর ১০ স্টেশন ঘুরে দেখেন। উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি মেরামত করে পুনরায় চালু করতে এক বছরের মতো সময় লাগতে পারে।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.