উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় মার্কিন সেনাদের ওপর ড্রোন হামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) এক মার্কিন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে প্রাথমিকভাবে এই হামলায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। খবর রয়টার্স।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর ওপর দ্বিতীয় হামলার ঘটনা এটি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অঞ্চলে সম্ভাব্য একটি নতুন হামলার জন্য ইরান ও তার মিত্ররা প্রস্তুত।
ইরান-সমর্থিত হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়েহকে ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলার হুমকিও দেয় দেশটি। তবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েল।
বৈরুতে ইসরায়েলের হামলায় ইরান-সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহর সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকরের হত্যা গাজার সংঘাতকে একটি বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে রূপান্তরিত করার উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ইরান বলেছে, ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের কারণে হানিয়েহ হত্যাকাণ্ডের জন্য যুক্তরাষ্ট্রও দায়ী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘প্রাথমিক প্রতিবেদনে হতাহতের কোনও তথ্য নেই। তবে চিকিৎসা মূল্যায়ন চলছে। বর্তমানে আমরা ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করছি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলাটি রুমালিন ল্যান্ডিং জোনে হয়েছিল। সেখানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে মার্কিন সেনা রয়েছে।
সোমবার পশ্চিম ইরাকের জক আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে দুটি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এতে পাঁচ মার্কিন কর্মী আহত হন। এই হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের দায়ী করেছে পেন্টাগন।
সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ৯০০ এবং প্রতিবেশী ইরাকে ২ হাজার ৫০০ সেনা রয়েছে। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট আইএস’র পুনরুত্থান ঠেকাতে স্থানীয় বাহিনীকে সহযোগিতা করতে একটি মিশনে তারা রয়েছে। ২০১৪ সালে আইএস উভয় দেশের বিশাল অংশ দখল করেছিল। তবে পরবর্তীতে তাদের পিছু হটিয়ে দেওয়া হয়।
অর্থসূচক/ এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.