সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এরপর তিন দিন দেশ সরকারশূন্য থাকার পরে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন শপথ নিয়েছেন। এমন সব অস্থিরতার মধ্যে পণ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় চাল-ডালের দাম এখনো কমেনি। তবে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে সবজি বাজারে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর মতিঝিল ও এজিবি কলোনি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পণ্য সরবরাহ এখনো আগের মতো স্বাভাবিক হয়নি। এজন্য চাল-ডালের মতো নিত্যপ্রয়েজনীয় পণ্যগুলোর দাম এখনো আগের যায়গায় রয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এসব পণ্যের দামও কমতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
অপরদিকে সবজির বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। দেখা গেছে, সবজির মধ্যে ঢ্যাঁড়শ প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। এছাড়া প্রতি কেজি পটল, পেপে, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকায়। গত এক সপ্তাহ আগেও এসব সবজির দাম ১০০ টাকার উপরে ছিলো।
ক্রেতারা বলছেন, আন্দোলনের আগে ও আন্দোলনের মধ্যেও সবকিছুর দাম অনেক বেশি ছিলো। তবে এখন সবজি সহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে।

এদিকে মাছের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। মাছের মধ্যে প্রতি কেজি পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়। পাশাপাশি নদীর পাঙ্গাশ মাছের কেজি ৬৫০ টাকা। এছাড়া বাগদা চিংড়ি প্রতি কেজি আজকে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়।
খুচরা বাজারে ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। আন্দোলনের মধ্যে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। তবে আজকের বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে।
অন্যদিকে আন্দোলনের সময় পেঁয়াজের দামও বেড়েছিলো। তবে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় কেজিপ্রতি পেঁয়াজ এখন ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিন প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আন্দোলনের মধ্যে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকায়। ছোট বাজারগুলোতে ২১০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। তবে বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালী মুরগী ২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা ও গরু ৭৫০ টাকা বাজার দরে বিক্রি হচ্ছে।
অর্থসূচক/এমএইচ



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.