দেশের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সংস্কারের দাবি তোলা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনেরই সমালোচনা চলছে বিএসইসিতে। কর্মকর্তাদের অনেকেরই অভিযোগ বুধবার (০৭ আগস্ট) অনুষ্ঠিত বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভা সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি তাদের।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) গিয়ে এমনটিই দেখা গিয়েছে।
কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন, ভোটগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচিত এই অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এর আগেও বৈষম্যমূলক অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে অর্থসূচককে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহভাজন চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতের কথায় সব কাজ করতো এই ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তবে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর বিপদ টের পেয়ে আগে ভাগেই নিজেদের দোষ ঢাকতে সংস্কার দাবী করছেন তারা।
বিএসইসির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ২০২২ সালে চেয়ারম্যান স্যারের কথায় জোরপূর্বক একটি সার্ভিস আইন চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে এই অ্যাসোসিয়েশন। তবে কর্মকর্তাদের চাপের মুখে তা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হন তারা।
জানা গেছে, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান কে সভাপতি, অতিরিক্ত পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান কে সহ সাধারন সম্পাদক, অতিরিক্ত পরিচালক ফারুক হোসেনকে সহ-সভাপতি, মোহাম্মদ হেমায়েত হাসানকে ট্রেজারার এবং সহকারী পরিচালক এ কে এম ফারুক আলম, শহীদুল ইসলাম এবং একজন মহিলাকে কার্যকরী সদস্য ঘোষণা করে ক্লোজড ডোর সিদ্ধান্ত নেয়ার মাধ্যমে এই বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাস্তবায়ন করা হয়।
চেয়ারম্যানের কথায় পরিচালিত এই অ্যাসোসিয়েশন এখন নিজেদের দোষ ঢাকতেই বিএসইসিতে সংস্কার চাইছে। এতে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কর্মকর্তাদের মাঝে
এর আগে, দেশের পুঁজিবাজার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সংস্কারের দাবি তুলেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। শেখ হাসিনা সরকারের পতন পরবর্তি পরিস্থিতিতে বিএসইসির কর্মকর্তারা সংস্থাটিতে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগে বিরোধিতা করে সংস্কার চাইছেন। পাশাপাশি দেশের পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে সংস্কার চাইছেন তারা।
তথ্যানুসারে, গত মঙ্গলবার বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান। সভায় গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের ছাত্র-ছাত্রী, শিশু ও অন্যান্য নাগরিক খুনের ঘটনার বিচারসহ তীব্র নিন্দা ও তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এছাড়া যারা আহত হয়েছেন এবং চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়।
অর্থসূচক/এমআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.