‘নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ ব্যাংক’

ব্যাংক খাত পুনর্গঠনের কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত সাংবাদিকদের সঙ্গে আগের মতোই আদানপ্রদান হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমান অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইআরএফ ও ব্যাংক খাতের সংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান।

কাজী সাইদুর রহমান বলেন, ব্যাংক খাত পুনর্গঠনের কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত সাংবাদিকদের সঙ্গে আগের মতোই আদানপ্রদান হবে। তাঁদের প্রবেশে বাধা থাকবে না। ছাত্র-জনতার এই বিজয়ে অন্যদের মতো তাঁরাও আনন্দিত। তাঁরা শহীদদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন; অসুস্থদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। একই সাথে সাংবাদিক প্রবেশে দীর্ঘদিন যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সরকার পতনের পর অফিস খোলার প্রথম দিন কার্যালয়ে আসেননি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কাজী সাইদুর রহমান বলেন, গভর্নর মানসিক চাপের কারণে আজ অফিস করছেন না; তিনি যার যার কাজ চালিয়ে নেওয়ার জন্য বলেছেন।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, মো. হাবিবুর রহমান ও মো. খুরশীদ আলম, নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা। ইআরএফের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি রেফায়েত উল্ল্যাহ মীরধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমসহ অন্যান্য সদস্য।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সায়ত্তসাশন ও স্বাধীনভাবে কাজ করার দাবি নিয়ে গভর্নরের কাছে লিখিত দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার ডেপুটি গভর্নর কাজী সাইদুর রহমানের মাধ্যমে এই দাবি তুলে ধরেন তারা।

দাবিগুলো হচ্ছে-

অনিয়ম ও পাচারে জড়িত ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীদের তালিকা করতে হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধন পরিবার ভিত্তিক ব্যাংক গঠনের সুযোগ রহিতকরণ। ব্যাংকগুলোর পরিচালনা বোর্ডের সংশোধন রাজনৈতিক নেতাদের অব্যহতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন নিশ্চিত করণ। বিভিন্ন ব্যাংকের দুর্নীতিবাজ পরিচালকদের শেয়ার বা মালিকানা জব্দ করণ। এছাড়া কোন কোন গ্রুপ অর্থ পাচার, অর্থ লোপাটের মধ্যে জড়িত, সবগুলো ডিবিআই থেকে তথ্য নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেওয়া সার্কুলারগুলো বিশ্লেষন করে তা বাতিল করতে হবে।

শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নয় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার দিলকুশায় ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু কর্নার ভাঙচুর করেছেন এক শ্রেণির বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা। পাশাপাশি মানবসম্পদ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তাকে মারধরও করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.