বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের বিজয় মিছিল

দীর্ঘদিন পর রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজ শাখার ছাত্রদলের সিনিয়ন সহ-সভাপতি মো. মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বিজয় মিছিল করা হয়েছে। এতে প্রায় ২০০ এর বেশি নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সরকারি বাঙলা কলেজের ক্যাম্পাসে এমন চিত্র দেখা যায়।

মোখলেছুর রহমান বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সারা দেশে মানুষের উপর নির্মম নির্যাতন করেছে। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে সাধারন শিক্ষার্থীরা হাসিনার গুন্ডা বাহিনী ছাত্রলীগের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তবে বাঙলা কলেজ ছাত্রদল সবসময় নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবারের ‘বৈষম্য বিরোধী’ আন্দোলনেও আমরা সর্বশক্তি নিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলাম।

সামনের দিনগুলোতেও বাঙলা কলেজ ছাত্রদল সাধারন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন মোখলেছুর রহমান। তিনি বলেন, ছাত্রদলের সাংগঠনিক অবিভাবক দেশনায়ক তারেক রহমান। তার নির্দেশনায় বিগত দিনগুলোতে আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছি। সামনের দিনগুলোতেও একইভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কাজ করে যাবো।

এদিকে সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করার পর শেখ হাসিনাকে বিদায় নিতে হলো ‘একনায়ক’ হিসেবে। ছাত্র ও গণ–আন্দোলনের মুখে তাঁর শাসনের পতনের পেছনে একগুঁয়েমি, অহংকার ও অতি আত্মবিশ্বাস—এসব বিষয়কে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। একক কর্তৃত্বের শাসনে শেখ হাসিনার সরকার সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।

শিক্ষার্থীরা যখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন, সেই পর্যায়ে গত ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিলেন। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি ‘রাজাকার’ শব্দও ব্যবহার করেছিলেন। এতে তাঁর একগুঁয়েমি ও অহংকারের বিষয়টিই প্রকাশ পেয়েছিল। এরপর শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠেন, আন্দোলন আরও জোড়ালো হয়। সেই আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে শক্তি প্রয়োগ করায় গত ১৭ জুলাই থেকে কয়েক দিনে সারা দেশে দুই শ–এর বেশি প্রাণহানি ঘটে।

এরপর সেনাবাহিনী নামিয়ে কারফিউ দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। তবে শিক্ষার্থীরা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে নামেন। বিপুলসংখ্যক প্রাণহানির ঘটনায় শেষ পর্যন্ত কোনো কিছুতেই রক্ষা হলো না। গতকাল বিকেলে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.