সংসদ ভেঙে দেওয়ার আল্টিমেটাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ আজ বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার সংসদ বিলুপ্ত করা হয়নি। আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ ভাঙা না হলে আগামীকাল কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

নাহিদ বলেন, ‘সারাদেশে লুটপাট, সহিংসতা ও সাম্প্রদায়িক হামলার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আমরা মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের ঘটনাকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে। কেউ যেন এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর সুযোগ না পায়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শহীদের রক্তের বিনিময়ে ছাত্র-নাগরিকের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটিয়েছি এবং একটি নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা করছি। কিন্তু আমাদের এই অর্জনকে নস্যাৎ করতে বিভিন্ন শক্তি ইতোমধ্যে তৎপর হয়েছে এবং বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমরা মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাচ্ছি, এই বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদী সাম্রাজ্য থেকে মুক্ত করার জন্য, একটি নতুন ও জনগণের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সকল ধরনের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করার জন্য বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা সদা প্রস্তুত’।

গতরাতে এক ভিডিও বার্তায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেন তিনি। তারা শিগগির এই সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাসহ সামগ্রিক রূপরেখা উপস্থাপন করবেন বলেও জানান নাহিদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে গতকাল (৫ আগস্ট) লাখো ছাত্র-জনতার দখলে ছিল রাজধানী ঢাকা। এদিন পদত্যাগ করে দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সংকট সমাধানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

এরপর একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার রাতে বঙ্গভবনে এক সভায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের লক্ষ্যে সেনাপ্রধান, নৌপ্রধান ও বিমানবাহিনীর প্রধান এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ও সুধীসমাজের প্রতিনিধিদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.