আশুলিয়ায় বেক্সিমকো-বেঙ্গল গ্রুপের পোশাক কারখানায় আগুন

সাভারের আশুলিয়ায় ৫টি পোশাক কারখানায় আগুন দেওয়া হয়েছে। কারখানাগুলো হচ্ছে-সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, ডরিন টেক্সটাইল, বেঙ্গল গ্রুপের কারখানা ও হামিম গোডাউন। আগুনে ২টি কারখানা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বাধার মুখে পড়েন। তাই তারা সময়মত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি।

রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন অন্তত ৩০ জন। গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তিকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ খবরে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা এক পর্যায়ে আশুলিয়া থানায় চালায়। ভাঙচুর করা হয় সিসিটিভি ক্যামেরা‌। থানায় ছোঁড়া ইটপাটকেলের জবাবে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে আহত হন অন্তত ২০ জন। এ সময় আশুলিয়া থানার সামনে থাকা অন্তত পাঁচটি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এই ঘটনার কিছু সময় পর  জিরানী এলাকার হামিম গোডাউন, সিনহা টেক্সটাইল, বেক্সিমকো টেক্সটাইল, ডরিন টেক্সটাইল ও বেঙ্গল গ্রুপের কারখানায় আগুন লাগানো হয়। এর মধ্যে কয়েকটি কারখানার আগুন স্থানীয়ভাবে নেভানো হলেও বেক্সিমকো ও বেঙ্গল গ্রুপের কারখানায় সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল বলে জানা গেছে।

বেক্সিমকো টেক্সটাইল হচ্ছে বেক্সিমকো গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্ঠা সালমান এফ রহমান এমপি এই গ্রুপের কর্ণধার। বেঙ্গল গ্রুপের কর্ণধার হচ্ছে আওয়ামীলীগের এমপি মোরশেদ আলম। হামিম গ্রুপের কর্ণধার ফরিদপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও হামিম গ্রুপের কর্ণধার একে আজাদ।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.