পাবনায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত ও অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছেন। তবে নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
রবিবার দুপুরের দিকে শহরের টাউন হল সংলগ্ন এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
আজ সকাল থেকেই পাবনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সকাল ১১টার দিকে শহরের টাউন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্র-জনতা। টাউন হল এলাকায় ঘণ্টাখানেক ধরে অবস্থান করে আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে গোলাগুলি শুরু হলে অতর্কিত গুলির আঘাতে ৩ জন নিহত হয়।
এরপর আন্দোলনকারীরা প্রতিরোধ তৈরি করলে উভয় পক্ষের মধ্যে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। দুপুর আড়াইটায় ২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধাওয়া-পাল্টা ও গোলাগুলি ধাওয়া চলছিল। সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাবনা সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রফিকুল হাসান বলেন, ‘একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেছেন আরও দুজন। কমপক্ষে ৩২ জন চিকিৎসাধীন আছেন।’
এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ অসহযোগ আন্দোলনে রাজধানীর শাহবাগসহ কয়েক জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে অসহযোগ আন্দোলনে পাবনায় ৩, মুন্সিগঞ্জ ২, বগুড়ায় ২, রংপুরে ২ এবং মাগুরায় একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.