আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আ.লীগের সংঘর্ষে নিহত ২
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে মুন্সিগঞ্জ শহরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর পৌনে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে যানবাহন চলাচলও কম। বেশিরভাগ দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক মো. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, ‘তাদের নামপরিচয় এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। জরুরি বিভাগে ২০ জনের বেশি আহত মানুষ এসেছেন।’
নিহত দুইজনই পুরুষ এবং তারা পেশায় শ্রমিক। তাদের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, ‘হতাহতের সংখ্যা এখনো বলতে পারছি না। তবে, পুলিশ কোনো গুলি চালায়নি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগের একদফা দাবি ঘোষণা করে আজ থেকে সারা দেশে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘোষণা দেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ থেকেই রাজপথে অবস্থান নেওয়া এবং পুরো আগস্ট জুড়ে রাজপথে অবস্থান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.