দেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি, হত্যা ও হামলাসহ নয় দফা দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তার পাশেই আফতাব নগর গেট থেকে প্রধান সড়কের মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সামনে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্র্যাক, আইইউবিএটি, আইডিয়াল স্কুলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে সেখানে।
এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেছেন- ‘কাঁদতে আসেনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’, ‘আর দিব না করতে আঘাত শক্ত কার প্রজার হাত’, ‘গণহত্যার বিচার কর, নাইলে গদি খালি কর’ এবং ‘লাশের মধ্যে জীবন দে, নাইলে গদি ছেড়ে দে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘আমি কে তুমি কে রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার’।
এদিকে এখন পর্যন্ত আফতাবনগর ও রামপুরা ব্রিজ এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও যান চলাচলে বাধা দেখা যায়নি। এ ছাড়া রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকায় অবস্থিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের কোনও উপস্থিতি দেখা যায়নি। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের একটি দলকে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ওসি আবু সালাম বলেন, ‘আমরা ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়েছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমরা বলেছি, আপনরা কেন লাঠিসোঁটা হাতে নিয়েছেন? পুলিশের হাতে যা দেখছেন, সেগুলো আপনাদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করে হবে। আপনারা লাঠিসোঁটা ফেলে দেন। আমরা গতকালও সহনশীল ছিলাম, আজও থাকবো। আন্দোলনকারীরা আমাদের জানিয়েছে, তারাও শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করবে।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.