বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লিতে রেড অ্যালার্ট, নিহত ৭

বুধবার প্রবল বৃষ্টিতে ভাসলো ভারতের দিল্লি। এতে শহরজুড়ে জলাবদ্ধতা এবং বিভিন্ন ঘটনায় মারা গেছেন সাতজন। ইতোমধ্যে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিল্লিতে এক ঘণ্টায় ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। প্রগতি ময়দানের কাছে বৃষ্টি হয়েছে ১১২ মিলিমিটারেরও বেশি। এই বৃষ্টিতে বেহাল হয়ে পড়ে রাজধানী। বহু রাস্তায় পানি জমে যায়। বিশাল ট্রাফিক জ্যাম হয়। গভীর রাত পর্যন্ত যানজট চলে। দিল্লিজুড়ে অনেক রাস্তাই পানির তলায় চলে যায়।

দিল্লির গাজিপুরে তনুজা ও তার তিন বছরের ছেলে প্রিয়াংশ জলে ডোবা রাস্তায় নালার মধ্যে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। গুরুগ্রামের ইফকো চকে বিদ্যুৎবাহী তার রাস্তায় জমা জলে পড়ে যায়। তাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। সবজি মণ্ডিতে বাড়ি ভেঙে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গ্রেটার নয়ডায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। মোট দশটি বিমানকে ঝড়-বৃষ্টির সময় নামতে দেয়া হয়নি। আটটি বিমানকে জয়পুর ও দুইটি বিমানকে লখনউ পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে দিল্লিতে বৃহস্পতিবার রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। তারা জানিয়েছে, দিল্লিতে বৃহস্পতিবার ঝড়-বৃষ্টি হবে। খুব দরকার না থাকলে মানুষকে বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ৫ অগাস্ট পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টি চলবে।

বৃহস্পতিবার দিল্লির সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী অতিশি জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে সরকারি ও বেসরকারি সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কয়েকদিন আগেই ওল্ড রাজেন্দ্রনগরে রাস্তার জমা জল রাউস আইএএস স্টাডি সার্কেলের বেসমোন্টে প্রবল বেগে ঢুকে পড়ায় তিনজন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সেই জায়গায় আবার পানি জমেছিল। সেই জমা দলে দাঁড়িয়ে পড়ুয়ারা বুধবারও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল জল জমা রাস্তার ছবি সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে বলেছেন, ‘অতবড় ঘটনার পরেও ড্রেন পরিষ্কার করা হলো না। কাউকে দায়ী করা হলো না।’

হিমাচল প্রদেশের রামপুরে ক্লাউড বার্স্ট বা মেঘফাটা বৃষ্টির পর প্রবল বন্যায় ২০ জন নিখোঁজ। একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় রাস্তাঘাট ভেসে গেছে। বিপর্যয় মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

উত্তরাখণ্ডের তেহরিতে ক্লাউড বার্স্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনজন নিখোঁজ। এছাড়া হরিদ্বারে বৃষ্টির ফলে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, এএনআই

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    
মন্তব্য
Loading...