রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি থেকে আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার থেকে বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের আঘাতে আহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক শেহরীন আমিন ভুঁইয়া।
এ বিষয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বিভাগের শিক্ষক শেহরিন ম্যাম পুলিশের আক্রমণে আহত হয়েছেন। দোয়েল চত্বর ও হাইকোর্টের মাঝামাঝি থেকে এক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় নুসরাত ম্যাম ও শেহরিন ম্যাম বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তর্কবির্তক চলতে থাকে। এ সময় এক পুলিশ সদস্য শক্তি প্রয়োগ করে এবং ম্যামের হাত মোচড় দিয়ে ছেলেটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ম্যামকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং ম্যাম আহত হন। ম্যাম হাতে, হাঁটুতে ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। ধস্তাধস্তি করে পুলিশ ছেলেটিকে ধরে নিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে শিক্ষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া বলেন, ‘বোরহান উদ্দিন কলেজের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন আমি ও নুসরাত জাহান বাধা দিই। পুলিশকে বললাম তার অপরাধ কী? পুলিশ বললো তাকে চেক করবো। তখন আমি পুলিশকে বলি চেক করার থাকলে এখানে করেন। আমাদের ব্যাগ, ফোন চেক করেন। পুলিশ তখন বারবার বলছিল, আমি কিন্তু বলপ্রয়োগ করবো। এরপর পুলিশ ধস্তাধস্তি করে তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি ওই শিক্ষার্থীর হাত শক্ত করে ধরে রাখছিলাম। তখন একজন পুলিশ আমার হাত মুচড়ে দেয় ও আমাকে ধাক্কা দেয়। এতে হাতে একটু বেশি ব্যথা পেয়েছি। এর বেশি বলার মতো শক্তি আমার নেই।’
জানা গেছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী দুপুর সাড়ে ১২টা থেকেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্টের দিকে মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন। এ সময় শিশু একাডেমির সামনে ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। দুপুর পৌনে ১টার দিকে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। পরে আইনজীবী, শিক্ষক, অভিভাবক ও মানবাধিকার কর্মীরা পুলিশের গাড়ি আটকে ওই দুই ছাত্রকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.