যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের কাছাকাছি, কমতে পারে নীতি সুদহার

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে চলমান লড়াইয়েও তারা ভালো করছে। ফেডারেল রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের দিকে নেমে আসছে, এবার তার আরেকটি লক্ষণ পাওয়া গেছে। মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশে নেমে আসলে নীতি সুদ কমাতে ফেডের দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে না।

সিএনএনের এক সংবাদে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ভোক্তা মূল্য সূচক প্রণয়নের ক্ষেত্রে ফেডারেল রিজার্ভের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আরেকটি সূচক হলো পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেনডিচার প্রাইস ইনডেক্স (পিসিই) বা ব্যক্তিগত ভোগব্যয় সূচক।

জানা গেছে, জুন মাসে এই সূচকের মান ছিল ২ দশমিক ৫ শতাংশ; পূর্ববর্তী মে মাসে যা ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

এই খবরে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শুক্রবার ডোও জোন্স সূচকের মান ৭০০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে; সেই সঙ্গে নাসডাক ও এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচকের মান বেড়েছে ১ শতাংশ।

গত তিন মাসে অর্থাৎ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে হঠাৎ করে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে গিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই প্রশমিত হয়েছে। অর্থনীতি প্রবৃদ্ধির ধারায় আছে; শ্রমবাজার স্থিতিশীল।

মুডিস অ্যানালিটিকসের অর্থনীতিবিদ ম্যাট কয়লার সিএনএনকে বলেন, বছরের প্রথম প্রান্তিকে যে হতাশাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে তা অনেকটাই কাটানো গেছে। তাঁর ব্যাখ্যা, বছরের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছু পরিমাপগত সমস্যা ছিল, দ্বিতীয় প্রান্তিকে যার সমাধান করা গেছে। এই পরিস্থিতিতে ফেডারেল রিজার্ভও নীতি সুদহার কমানোর বিষয়ে ভাবতে পারছে।

ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদ বাড়ানোর পরও আশা করেছিল, অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়বে না। তাদের সেই আশা অনেকাংশে পূর্ণ হয়েছে। এ মাসেও ফেডের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক আছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এবারও ফেড নীতি সুদ অপরিবর্তিত রাখবে; এরপর সেপ্টেম্বর মাস থেকে তারা নীতি সুদ কমাতে শুরু করবে।

অর্থসূচক/

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.