ঘূর্ণিঝড় গায়েমির প্রভাবে তাইওয়ানে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্কুল ও অফিস বন্ধ রাখা হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলও বন্ধ। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ২৯ হাজার সেনাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দেশের একটা বড় অংশের উপর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে। তাই মানুষকে চূড়ান্ত সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তাইওয়ানে প্রবল বেগে বাতাস ও বৃষ্টি হবে।
ইতিমধ্যেই দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। একজন গাছ পড়ে মারা গেছেন। আরেকজন বাড়ি ভেঙে পড়ায় মারা যান। দুইশর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
দেশটির প্রেসিডেন্ট লাই বলেছেন, মানুষ যেন নিজের নিরাপত্তার কথা প্রথমে ভাবেন। তাইওয়ানের জন্য আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। দক্ষিণ ও মধ্য তাইওয়ানে এক হাজার আটশ মিলিমিটার বা ৭০ ইঞ্চি বৃষ্টি হতে পারে।
ইতিমধ্যে জাপান ও ফিলিপাইন্সে এই ঝড়ের প্রভাব পড়েছে। গত পাঁচদিন ধরে সেখানে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। ম্যানিলাতে প্রচুর জায়গায় ধস নেমেছে। এর ফলে আটজন মারা গেছেন।
চীনেও কিছু এলাকায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়কে গত আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.